
পরীক্ষা কেন্দ্রে দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে জগন্নাথপুর ও মাধবপুরে তিন শিক্ষককে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে হবিগঞ্জের বাহুবলে নকল সরবরাহের দায়ে এক শিক্ষককে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর-
জগন্নাথপুর (সুনামগঞ্জ) : সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে দাখিল পরীক্ষা কেন্দ্রে দায়িত্ব পালনে অবহেলার অভিযোগে দুই মাদ্রাসা শিক্ষককে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার জগন্নাথপুর পৌর শহরের ইকড়ছই সিনিয়র হাফিজিয়া আলিয়া মাদ্রাসার দাখিল পরীক্ষার কেন্দ্র পরিদর্শনকালে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জগন্নাথপুর ইউএনও মাহফুজুল আলম ওই দুই শিক্ষককে অব্যাহতি দেন। অব্যাহতিপ্রাপ্ত শিক্ষকরা হলেন- উপজেলার হযরত আবু বক্কর সিদ্দিকী মাদ্রাসার শিক্ষক মাওলানা এমদাদ হোসেন ও আল-জান্নাত এডুকেশন ইনস্টিটিউটের শিক্ষক মাওলানা আব্দুল বশির।
মাধবপুর (হবিগঞ্জ) : হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার জগদীশপুর জেসি হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজের এসএসসি পরীক্ষার কেন্দ্র সচিব সৈয়দ মুদরেকুল হোসাইনকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে এর সত্যতা নিশ্চিত করে মাধবপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবলু হোসেন জানান, জগদীশপুর হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সৈয়দ মুদরেকুল হোসাইন জগদীশপুর এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্রে কেন্দ্র সচিবের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করতে ব্যর্থ হন। এ কারণে ইউএনও মলিল্গকা দে তাকে কেন্দ্র সচিবের পদ থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন।
হবিগঞ্জ : হবিগঞ্জের বাহুবলে মোবাইল ব্যবহার করে পরীক্ষার্থীদের অবৈধভাবে সহযোগিতা করার অপরাধে এক শিক্ষককে দুই বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। একই সাথে সাত পরীক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এ সময় শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার বাহুবল ডিগ্রি কলেজ কেন্দ্রে দাখিল পরীক্ষা চলাকালে উপজেলার মিরপুর মাদ্রাসার শিক্ষক রকেট উদ্দিন সরকার মোবাইল ফোনের মাধ্যমে তার মাদ্রাসার কিছু পরীক্ষার্থীকে প্রশ্নোত্তর জানিয়ে দিয়ে অবৈধভাবে সহযোগিতা করছিলেন। এ সময় বাহুবল ইউএনও (ভারপ্রাপ্ত) রফিকুল ইসলাম কেন্দ্র পরিদর্শনে গেলে তার সন্দেহ হয়। তিনি ওই শিক্ষককে পরীক্ষাকেন্দ্রের বাইরে থেকে আটক করেন। পরে তার ফোন যাচাই করে প্রশ্ন ও উত্তর আদান-প্রদানের স্পষ্ট আলামত পান।
এডুকেশন বাংলা
0 Reviews:
Post Your Review